ইমাম অনেক যেমন,ইমাম মালেক (র)ইমাম শাফেঈ (র) ইমাম আহমদ (র) ইমাম আবূ হানিফা(র) ইমাম সুফইয়ান সাওরী. আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক.বুখারী.মুসলিম.তিরমিজী.নাসাঈ.ইবনে মাযাহ. বাইহাকী.নববী.শাওকানী.আসকালানী.আলবানী সহ অনেক ইমাম রয়েছে ।কিন্তূ চার ইমাম তাদের সবার অগ্রগন্য উস্তাত. যেমনঃ ইমাম মালেক এর ছাএ-শাফেঈ,আবূ হানিফা ।শাফেঈর ছাএ আহমদ ইবনে হাম্বল,আহমদ এর ছাএ বুখারী,মুসলীম,আবূ দাউদ,হানিফার ছাএ ইমাম মুহাম্মদ ও ইমাম আবূ ইউসূফ (র)।
মালেক বিন আনাস(রহ)
জন্ম ও মৃত্যু ৯৩-১৭৯হিঃ
তিনি বলেনঃ
১।।আমি মানুষ,ভুল-শুদ্ব দুটোই করি,আমার রায় দেখ যা কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক তা গ্রহন কর এবং যা তার বিপরীত তা প্রত্যাখান কর ।
সূত্রঃ(ক) আল ফোলানী ৭২ পৃষ্ঠা
(খ)আল-জামে,ইবনু আবদিল বার ২য় খন্ড ৩২ পৃষ্ঠা
(গ)উসূলুল আহকাম-ইবনে হাযম ৬ষ্ঠ খন্ড ১৪৯ পৃষ্ঠা
(ঘ)জলবুল মানফাআ ৪৭ পৃষ্ঠা (ঙ)ইকাযুল হিমাস ১০২পৃষ্ঠা
২।।রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর এমন কোনো ব্যক্তি নেই যার কথা ও কাজ সমালোচনার বাহিরে ।একমাত্র রাসূলের কথায় সবার উপরে ।সূত্রঃ(ক)উসূলুল আহাম-ইবনে হাযম ৬ষ্ঠ খন্ড ১৪৫ পৃষ্ঠা (খ)আল জামে-ইবনু আবদিল বার ২য় খন্ড ৯১ পৃষ্ঠা (গ)আল ফাতওয়া আসসাবকী ১ম খন্ড ১৪৮ পৃষ্ঠা
(ঘ)ইরশাদুস সালিক ১ম খন্ড ২২৭ পৃষ্ঠা
৩।।তোমরা রায় বা কিয়াস পন্থীদের থেকে বেঁচে থেকো কেননা তারা সুন্নতের শত্রু ।
সূত্রঃ(ক)আল আহকাম ৬ষ্ঠ খন্ড ৫৬পৃষ্ঠা
মুহাম্মদ ইবনু ইদরীস আল-শাফেঈ (রহ)
জন্ম ও মৃত্যু ১৫০-২০৪ হিঃ
তিনি বলেনঃ
১।।সহীহ ও বিশুদ্ব হাদিসই আমার মাযহাব ।
সূত্রঃ(ক)আল মাজমু-আন নববী ।আশশারানী ১ম খন্ড ৫৭ পৃষ্ঠা (খ)আল ফোলানী ১০৭ পৃষ্ঠা
২।।তোমাদের কারোর কাজ থেকে যেন রাসূলের সুন্নাহ ছুটে না যায়,আমি যত কিছুই বলে থাকি তা যদি রাসূলের সুন্নাহর (হাদিস)বিপরীত হয়,তা হলে রাসূলের কথাই আমার কথা ।সূত্রঃ(ক)তারীখ দিমাশ্ক-ইবনে আসাকির (খ)ইকায পৃষ্ঠা ১০০(গ)ইলামুল মুকেঈন ২য় খন্ড ৩৬৩-৩৬৪পৃষ্ঠা
৩।।একথার উপর মুসলমানদের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে,যখনই কারো সামনে রাসূলের কোনো কথা প্রকাশ পায়,তখনই তার জন্য অন্য কোনো লোকের কথার ভিত্তিতে রাসূলের হাদিসকে ত্যাগ করা জায়েয নয়। সূত্রঃ(ক)ইবনুল কাইয়েম ২য় খন্ড ৩৬১ পৃষ্ঠা(খ)আল ফোলানী ৬৮পৃষ্ঠা
৪।।তোমরা যদি আমার কিতাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর সুন্নাহ বিরোধী কোন কিছু পাও,তাহলে তোমরা আমার ঐ কথা ত্যাগ কর ।অপর রেওয়ায়েতে আছে,তাহলে রাসূলুল্লহ (সাঃ)এর ঐ হাদিস অনুসরণ কর এবং অন্য কারও কথার প্রতি নযর দিওনা ।সূত্রঃ(ক)আল ফোলানী ১০০ পৃষ্ঠা (খ)ইবনুল কাইয়িম ২য় খন্ড ৩৬১ পৃষ্ঠা(গ)আল হিলাইয়াহ ৯ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা(ঘ)ইবনু আসাকির খন্ড ১৫ পৃষ্ঠা ৯ (ঙ)আল মাজমু আন নববী-১ম খন্ড পৃষ্ঠা ৬৩
৫।।আপনারা হাদিস ও রিজাল শাস্ত্রে আমার চেয়ে বেশি জ্ঞাত ।সহীহ হাদিসের সন্দান পেলে আমাকে জানাবেন,রেওয়ায়েত কারী যে কেউ হক না কেন সহীহ হলে আমি তার কাছে যাবো ।সূত্রঃ(ক)আদাবুশ শাফেঈ-ইবনু আবি হাতেম ৯৪ ও৯৫ পৃষ্ঠা (খ)আল হিলইয়া ৯ম খন্ড পৃষ্ঠা১০৬ এবং ইবনে আসাকির,ইবনু আবদিল বার,ইবনুল জাওযী,আল-হারওয়াযী তাদের নিজ নিজ কিতাবে তা উল্লেখ করেছেন।
৬।।তোমরা যদি আমাকে কোনো কথা বলতে দেখ এবং রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এর বিপরীত কথা পাও,তাহলে যেনে রাখ আমার জ্ঞান-বুদ্বি লোপ পেয়েছে ।সূত্রঃ(ক)আদাব-ইবনু আবি হাতেম পৃষ্ঠা৯৩(খ)হিলইয়া-আবূ নাঈম ৯ম খন্ড ১০৬পৃষ্ঠা (গ)ইবনু আসাকির
৭।।আমি যা বলেছি তার বিপরীত যদি রাসূলুল্লাহ(সা)এর কোনো হাদিস কারো নিকট বিদ্যমান থাকে,তাহলে আমি আমার জীবিত কিংবা মৃত উভয় অবস্থায় হাদিসের দিকে ফিরে আসবো ।সূত্রঃ(ক)হিলইয়া-আবূ নাঈম ৯ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা(খ)আল হারওয়াযী ৪৭পৃষ্ঠা(গ)ইলামুল মোকেইন ২য় খন্ড ৩৬৩পৃষ্ঠা (ঘ)আল ফোলানী ১০৪ পৃষ্ঠা
৮।।আমি যা বলেছি তার বিপরীত রাসূলুল্লাহ (সা)এর থেকে কোনো সহীহ হাদিস থাকলে নবীর হাদিসই উত্তম,তখন তোমরা আমার তাকলিদ করবে না ।সূত্রঃ(ক)ইবনু আবি হাতেম(খ)আবূ নাঈম(গ)ইবনু আসাকির
এ বিষয়ে ইমাম শাফেঈ অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন,কলেবর বড় হওয়ার ভয়ে সংক্ষিপ্ত করলাম ।
আহমদ বিন হাম্বল(রহ)
জন্ম ও মৃত্যু ১৬৪-২৪১ হিজরী
তিনি বলেনঃ
দুনিয়ায় যত ইমাম এসেছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাদিস রেওয়ায়েত কারী ইমাম হলেন আহমদ বিন হাম্বল ।তিনি ইজতিহাদ করে মাসয়ালা দেয়া এর উপর গ্রন্থ রচনা করা অপছন্দ করতেন ।সূত্রঃ(ক)আল মানাকেব ইবনুল জাওযী ১৯২পৃষ্ঠা
১।।তোমরা আমার,ইমাম মালেক,শাফেঈ.আওযাঈ.সাওরী.নাখয়ী বা অন্য কারো তাকলিদ (অন্ধ অনুসরন)করবে না ।বরং তারা যে স্থান হতে গ্রহন করে,তোমরাও(কোরআন ও হাদিস) ঐ স্থান থেকে নাও ।সূত্রঃ(ক)ইবনুল কাইয়ূম-ইলাম ২য় খন্ড৩০২পৃষ্ঠা(খ)ইকদুল জীদ ৮১পৃষ্ঠা
(গ)আল ফোলানী ১১৩পৃষ্ঠা
২।।ইমাম আওযাঈ,ইমাম মালেক,ইমাম আবূ হানিফার রায় তাদের নিজস্ব ইজতেহাদ.আমার কাছে সবই সমান,তবে দলিল হল-আসার ।সূত্রঃ(ক)ইবনু আবদুল বার-আল জামে ২য় খন্ড ১৪৯পৃষ্ঠা
৩।।যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ(সা)এর হাদিস বাদ দিয়ে আমল করে,সে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে ।সূত্রঃ(ক)ইবনুল জাওযী ১৮২পৃষ্ঠা
আবূ হানিফা নুমান ইবনু সাবিত(রহ)
জন্ম ও মৃত্যু ৮০-১৫০ হিজরী
তিনি বলেনঃ
১।।তোমরা যদি আমার কোন কথা প্রকাশ্য কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীত দেখতে পাও,তাহলে তোমরা কোরআন ওসুন্নাহ অনুযায়ী আমল করবে এবং আমার কথা প্রাচীরে ছুঁড়ে মারবে । সূত্রঃ(ক)মীযানে কুবরা ১ম খন্ড ৫৭পৃষ্ঠা
২।।আমার কোন কথা যদি আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের হাদিসের বিপরীত হয়,তাহলে আমার কথা পরিহার কর ।সূত্রঃ(ক)আল ফোলানী ৫০পৃষ্ঠা
৩।।আমার কোনো কথা গ্রহন করা কারো জন্যে বৈধ হবে না,যে পরযন্ত না সে জানে যে আমি কোন সূত্রে তা বলেছি ।সূত্রঃ(ক)মুকাদ্দামায়ে হেদায়া ১ম খন্ড ৯৩পৃষ্ঠা
(খ)বাহরুর রায়েক ৬ষ্ঠ খন্ড ২৯৩পৃষ্ঠা
৪।।আমরা কোথা থেকে মাসয়ালা গ্রহন করেছি,তা জানার আগ পরযন্ত আমাদের বক্তব্য গ্রহন করা কারোর জন্য জায়েয নয় ।সূত্রঃ(ক)ইবনু আবদিল বার ১৪৫ পৃষ্ঠা(খ)ইবনূল কাইয়িম ২য় খন্ড ৩০৯পৃষ্ঠা(গ)ইবনু আবেদীন ৬ষ্ঠ খন্ড২৯৩পৃষ্ঠা(ঘ)আশ শারানী ১ম খন্ড ৫৫পৃষ্ঠা
৫।।হাদিস সহীহ হলে সেটাই আমার মাযহাব ।সূত্রঃ(ক)আল হাশিয়া ১ম খন্ড ৬৩পৃষ্ঠা (খ)রসমুল মুফতী ১ম খন্ড ৪৬২পৃষ্ঠা(গ)রদ্দুল মুখতার ১ম খন্ড ৪পৃষ্ঠা
৬।।ইমাম আবূ হানিফা (র)এর নিকট কোন মাসয়ালা-মাসাইল
জানার জন্য কেউ গেলে তার নিকট সে বিষয়ে কোন হাদিস বিদ্যমান না থাকলে তিনি
ঐ মাসয়ালা সম্পকে রায় দিয়ে বলতেনঃএটা নুমান বিন সাবিতের রায়,আমাদের সাধ্যানুসারে এটাই উত্তম.তবে যদি কেউ এটা অপেক্ষা আরো উত্তম রায় নিয়ে উপনীত হয়,তাহলে সেটাই হবে সঠিক ।সূত্রঃ(ক)হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা ১৬২পৃষ্ঠা(খ)মীযানে কুবরা ১ম খন্ড ৬০পৃষ্ঠা
৭।।কোন ব্যাপারে যদি দলিল প্রকাশ হয়ে যায় তাহলে তোমরা তদানুযায়ী কথা বলবে ।সূত্রঃ(ক)রদ্দুল মুখতার১ম খন্ড ৪৭ পৃষ্ঠা
মোটকথা হলো যে কোন ব্যক্তি যদি কোন মাসয়ালা প্রদান করে তবে ঐ কথাকে কোরআন ও হাদিস দ্বারা পরিমাপ করা অবশ্যই দরকার,কারন রাসূল ব্যতীত এমন কোন সৃষ্টি নেই যার কথা ও কাজের মধ্যে কাটসাট না হয় ।উল্লেখিত আলোচনায় ইমামদের কথায় এত্ত বুঝা যায় তারা তাদের কথা না দেখেশুনে গ্রহন করতে নিষেধ করেছেন । এবং ইমাম রায় সহীহ হাদিস পাওয়ার সাথে সাথে তা মেনে নিয়েছে ।এবিষয়ে তাদের উক্তিই বুঝার জন্য অনেক কিছু ।
এমনকি ইমাম আবূ হানিফা(রহ)এর প্রদান দুই ছাত্র ইমাম মুহাম্মদ(রহ) ও ইমাম ইউসূফ (রহ) তাদের উস্তাদের সাথে এক-তৃতীয়াংশ মাসয়ালায় ভিন্ন মত দিয়েছে ।
No comments:
Post a Comment