জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান
মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়
রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী শাহরিয়ার কবির গতকাল জেরাতে স্বীকার করেছেন,
জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ কখনোই রাজাকার ছিলেন না। তারা ছিলেন বেসামরিক
লোক। গতকাল সোমবার ডিফেন্স পক্ষের আইনজীবীর জেরাতে সাক্ষী এসব কথা স্বীকার
করেছেন।
গতকাল সাক্ষী শাহরিয়ার কবিরকে জেরা করেছেন ডিফেন্স পক্ষের অন্যতম সিনিয়র
আইনজীবী এডভোকেট মিজানুল ইসলাম। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২
এর চেয়ারম্যান এ টি এম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে অপর দুই সদস্য ওবায়দুল হাসান ও
শাহিনুর ইসলামের উপস্থিতিতে সাক্ষীর জেরা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ১৩
সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করবে ডিফেন্স পক্ষের
আইনজীবী।
গতকাল জেরার এক পর্যায়ে আইনজীবী সাক্ষী শাহরিয়ার কবিরকে প্রশ্ন করেন
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী কিংবা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ রাজাকার
বাহিনীর সদস্য ছিলেন কি না? জবাবে শাহরিয়ার কবির স্বীকার করেন মাওলানা
নিজামী বা মুজাহিদ সাহেব রাজাকার ছিলেন না। তিনি তার উত্তরে আরো বলেন,
মাওলানা নিজামী এবং মুজাহিদ সাহেব ছিলেন বেসামরিক ব্যক্তি। আর রাজাকার
বাহিনী ছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সহযোগী বাহিনী। তবে সাক্ষী
শাহরিয়ার কবির দাবি করেন তার তৈরি প্রামাণ্য চিত্রে অনেক রাজাকার
সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন তারা নিজামী স্বাক্ষরিত পরিচয়পত্র বহন করতেন। যদিও
জেরার অপর এক প্রশ্নে শাহরিয়ার কবির নিজেই আবার স্বীকার করেছেন, তৎকালীন
মহকুমার প্রশাসকরাই রাজাকারদের নিয়োগ দিতেন। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর
নাম রাজাকারদের কোনো তালিকায় ছিলো কিনা, ডিফেন্স পক্ষের আইনজীবীর এমন
প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী শাহরিয়ার কবির বলেন, সরকারিভাবে ছিলো না। তবে
মাওলানা নিজামী অন্যদের রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করতেন। ১৯৭১
সালের রাজাকারদের পরিচিতিমূলক কোনো বই বা গবেষণা শাহরিয়ার কবিরের নিজের আছে
কি না, জেরাতে আইনজীবীর এমন প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, মেজর আরেফীন
কর্তৃক সম্পাদিত ৩৩ হাজার রাজাকারের পরিচিতি সংবলিত ৩ খন্ডের বই আছে। পরে
আইনজীবী জানতে চান এই বইটিতে রাজাকারদের দলীয় কোনো পরিচয় আছে কি না? জবাবে
শাহরিয়ার কবির স্বীকার করে বলেন, ঐ বইটিতে রাজাকারদের দলীয় কোনো পরিচয় বলা
হয়নি। পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লে. জে. এ এ কে নিয়াজী
লিখিত ‘বিট্রায়াল অব ইস্ট পাকিস্তান' বইয়ে লেখক বলেছেন, রাজাকার বাহিনীর
গঠন ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অনেকে অনেক কথা বললেও প্রকৃত সত্য হচ্ছে এই যে,
রাজাকার বাহিনী পাকিস্তান আর্মি কর্তৃক সৃষ্ট সেনাবাহিনীরই একটি সহযোগী
বাহিনী। এই বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব ছিলো পাকিস্তান
সেনাবাহিনীর হাতে। তিনি আরো বলেছেন, আল বদর বা আল শামস্ বাহিনী নামে পৃথক
কোনো বাহিনী ছিলো না, এ দুটি ছিলো রাজাকার বাহিনীর দুটি উইং মাত্র। লেখকের
এই বক্তব্য বিষয়ে ডিফেন্স পক্ষের আইনজীবী শাহরিয়ার কবিরের বক্তব্য জানতে
চাইলে শাহরিয়ার কবির বলেন, এই বক্তব্য সঠিক। তবে এই বক্তব্য ইতিহাস নয়,
বইটির লেখকের নিজস্ব বক্তব্য এটি।
গতকালের জেরার পূর্ণ বিবরণ :
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনীকে প্রজ্ঞাপন দ্বারা শামরিক বাহিনীর অধীনে নেয়া হয়েছিল কি?
উত্তর : হ্যাঁ, সাঠিক।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনীর ঢাকা জেলার এডজুটেন্ট কে ছিলেন?
উত্তর : বই না দেখে বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : বইটির নাম কি?
উত্তর : ‘৭১-এর ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়?
প্রশ্ন : প্রজ্ঞাপন জারির পরে রাজাকার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বা পরিচালনার দায়িত্বে পূর্বাঞ্চলে কে ছিলেন?
উত্তর : আমার জানা নেই। বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : ঢাকা জেলায় তালিকাভুক্ত রাজাকারের সংখ্যা কত ছিল?
উত্তর : বই না দেখে বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : রাজাকারদের পরিচিতিমূলক কোনো বই বা গবেষণা আছে কি?
উত্তর : মেজর আরেফীন কর্তৃক সম্পাদিত ৩৩ হাজার রাজাকারের পরিচিতি সংবলিত
৩ খন্ডের বই আছে। তবে সেখানে ঢাকা জেলার রাজাকারদের সংখ্যা ও তালিকা থাকতে
পারে।
প্রশ্ন : এই রাজাকাররা কে কোন দল করতো তা কি উল্লেখ আছে সেখানে?
উত্তর : ঐ বইটিতে রাজাকারদের দলীয় পরিচয় বলা হয়নি।
প্রশ্ন : ঢাকা জেলা ছাড়া অন্য জেলার রাজাকারদের এডজুটেন্ট কে ছিলেন?
উত্তর : আমার গবেষণা বা মেজর আরেফীনের সম্পাদিত বইটিতে রাজাকারদের দলীয়
পরিচয় ছিল না। তবে অনেক রাজাকারের দলীয় পরিচয় ছিল অনেকের দলীয় পরিচয় ছিল
না।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বেতনভুক্ত ছিল কি?
উত্তর : সহযোগী সদস্য ছিল।
প্রশ্ন : রাজাকারদের মহকুমার প্রশাসকরা কি নিয়োগ দিত?
উত্তর : হ্যাঁ, দিত। পরে বলেন, জামায়াতের লোকজন আইডিকার্ড দিত।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে ঢাকা জেলার জামায়াতের আমীর কে ছিলেন?
উত্তর : আমি বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের সেক্রেটারি কে ছিলেন?
উত্তর : এই মুহূর্তে বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : রাজশাহী বিভাগীয় আমীর কে ছিলেন?
উত্তর : স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : অধ্যাপক গোলাম আযম, আববাস আলী খান, মতিউর রহমান নিজামী,
এডভোকেট আফাজউদ্দিন স্বাক্ষরিত বা ইস্যুতে কোনো আইডিকার্ড আপনার সংগ্রহে
আছে কি?
উত্তর : আমার সংগ্রহে নেই তবে প্রামাণ্য চিত্রে রাজাকাররা তাদের
সাক্ষাৎকারে বলেছে মতিউর রহমান নিজামী স্বাক্ষরিত পরিচয়পত্র বহন করতো।
প্রশ্ন : মতিউর রহমান নিজামী রাজাকার বা রাজাকারবাহিনীর সদস্য ছিলেন না।
উত্তর : সরকারিভাবে ছিলেন না। তবে তিনি অন্যদের নির্দেশ দিতেন রাকাজার
বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য। মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন বেসামরিক ব্যক্তি।
রাজাকার বাহিনী ছিলো সেনাবাহিনীর সহযোগী বাহিনী। তার দল পূর্বপাকিস্তান
সরকারের অংশ ছিলো। নিজামী সাহেবের মতো মুজাহিদ সাহেবও বেসামরিক ব্যক্তি
ছিলেন।
প্রশ্ন : পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চালীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেঃ জেঃ এ এ কে নিয়াজী কর্তৃক লিখিত বিট্রায়াল অব ইস্ট পাকিস্তান বই পড়েছেন কি?
উত্তর : অনেক আগে পড়েছি।
প্রশ্ন : বইটিতে নিয়াজী বলেছেন, রাজাকার বাহিনীর গঠন ও নিয়ন্ত্রণ
সম্পর্কে অনেকে অনেক কথা বললেও প্রকৃত সত্য এই যে, রাজাকার বাহিনী
পাকিস্তান আর্মি কর্তৃক সৃষ্ট একটি সহযোগীবাহিনী এবং নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব
সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীর হাতে ছিল। তিনি আরো বলেছেন, আল বদর বা আল শামস্
বাহিনী নামে পৃথক কোনো বাহিনী ছিল না এ দুটি রাজাকার বাহিনীর দুটি উইং ছিল।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক। এটি নিয়াজীর মত কোনো ইতিহাস নয়।
প্রশ্ন : আল বদর বইটি আপনি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দিয়েছেন?
উত্তর : হ্যাঁ দিয়েছি। এর লেখক সেলিম মনসুর খালেদ।
প্রশ্ন : বইটিতে লেখা আছে আল বদরবাহিনী পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কর্নেল
জামালপুরে কর্মরত মেজর রিয়াজের সৃষ্টি এবং আল বদর নামটিও তার দেয়া।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক।
প্রশ্ন : পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড যখন ১৬ ডিসেম্বর
যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তখন তাদের সাথে সহযোগী বাহিনীও ছিল।
সেখানে ছিলো ইপিক্যাফ, মুজাহিদবাহিনী, রাজাকারস, ওয়েস্ট পাকিস্তান পুলিশ
এবং ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স।
উত্তর : ইহা আংশিক সত্য। সবাই না অনেকেই আত্মসমর্পণ করেছিল।
প্রশ্ন : পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সরবরাহকৃত তালিকায় সহযোগী বাহিনী হিসেবে আল বদর ও আল শামস্ বাহিনীর নাম ছিল না।
উত্তর : হ্যাঁ, সত্য।
প্রশ্ন : আত্মসমর্পণ করা রাজাকাররা কোথায়?
উত্তর : অধিকাংশই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল।
প্রশ্ন : ৭১' সালের ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের প্রধান কে ছিলেন?
উত্তর : মনে পড়ছে না।
প্রশ্ন : ইপিক্যাফ ও মুজাহিদ বাহিনীর প্রধান কে ছিলেন?
উত্তর : মনে পড়ছে না।
প্রশ্ন : মুজাহিদ বাহিনী মূলত অবাঙ্গালি ও বিহারীদের নিয়ে গঠিত ছিল।
উত্তর : হ্যাঁ, সত্য।
প্রশ্ন : এই বাহিনীর কার্যক্রম ঢাকা ও বৃহত্তর রংপুর এবং অবাঙ্গালি অধ্যুষিত এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল?
উত্তর : হ্যাঁ, সত্য।
প্রশ্ন : ঢাকার মিরপুর ও মোঃপুর বিহারী সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা ছিল।
উত্তর : হ্যাঁ, সত্য।
প্রশ্ন : মিরপুর এলাকা থেকে ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এডভোকেট জহির উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বিহারী ছিলেন।
উত্তর : হ্যাঁ, সত্য।
প্রশ্ন : তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়। কোন পদে ছিলেন কি না জানা নেই।
প্রশ্ন : তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দেননি।
উত্তর : হ্যাঁ, সত্য।
প্রশ্ন : স্বাধীনতা উত্তরকালে গণপরিষদে তাকে সদস্য রাখা হয়নি।
উত্তর : হ্যাঁ, সত্য।
প্রশ্ন : তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছিল কি?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি বেসামরিক ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল?
উত্তর : হ্যাঁ, সত্য।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন মুসলিম লীগের খাজা খয়ের উদ্দিন।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির সেক্রেটারি কে ছিলেন?
উত্তর : মনে পড়ছে না। তবে গোলাম আযম শীর্ষ নেতা ছিলেন।
প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামী একটি বেসামরিক সংগঠন।
উত্তর : একটি রাজনৈতিক দল।
প্রশ্ন : শহীদুল্লাহ কায়সারকে অপহরণের অভিযোগে স্বাধীনতার পর পরই একটি মামলা করেছিলেন জনৈক নাসির আহমেদ।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক।
প্রশ্ন : শহীদুল্লাহ কায়সারকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় পান্না
কায়সার ও নাসির আহমেদ, জাকারিয়া হাবিব, নিলা জাকারিয়া এবং শাহানা বেগমসহ
অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক।
প্রশ্ন : এজাহারকারী তার এজাহারে আলবদর এর কোন কমান্ডের নাম ছিল না।
উত্তর : আমার জানা নেই।
প্রশ্ন : জহির রায়হান সাহেব এবিএমএ খালেক মজুমদারকে আটক করে শহীদুল্লাহ কায়সারের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন?
উত্তর : আমার জানা নেই। আমি দেশে ছিলাম না।
প্রশ্ন : এবিএম এ খালেক মজুমদারের আটকের খবর ও ছবি ঐ সময়ে পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক।
প্রশ্ন : পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক।
প্রশ্ন : বিচারে খালেক মজুমদারের বিচারে দালাল আইনে সাত বছরের কারাদন্ড হয়।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক।
প্রশ্ন : এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ তাকে খালাস প্রদান করেন।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক। তবে আদেশটি কবে হয় জানি না। (পরে বলেন) ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করা হয়।
প্রশ্ন : মামলায় রায়টি মামলার গুনাগুণের ভিত্তিতে হয়েছিল?
উত্তর : রায়ের কপি না দেখে বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : অধ্যাপক মুনির চৌধুরীর অপহরণের বিষয়ে দালাল আইনে মামলা হয়েছিল এবং দু'জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছিল।
উত্তর : আমার জানা নেই। পরে বলেন, দালাল আইনে যেভাবে বিচার হয়েছে সেগুলো আমরা মেনে নেইনি।
প্রশ্ন : দালাল আইনকে আপনি কালো আইন বলেন কি?
উত্তর : না। দালাল আইনের সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ত্রুটিমুক্ত করার জন্য ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন প্রণয়ন করেছে।
প্রশ্ন : দালাল আইন প্রণয়ন ও পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল আইন প্রণয়নের সময় বাংলাদেশের তিনজন প্রখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল
হোসেন, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম ও শ্রী মনোরঞ্জন ধর বঙ্গবন্ধুর সরকারে
মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন।
উত্তর : হ্যাঁ, সঠিক।
No comments:
Post a Comment