৯/১১ হামলাকান্ডের পরবর্তী এগারো বছরে হাজারো লোকের
জীবন গেছে এবং কোটি কোটি ডলার ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও ৯/১১ ও তার পরবর্তী
ঘটনাগুলোর কারণে যে বিপর্যয় বিশ্বে নেমে এসেছে তার জের এখন কাটেনি।
ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন বটে কিন্তু দুনিয়াজুড়ে মুসলিম তরুণরা ওসামার প্রবর্তিত মতবাদে আজো দীক্ষা নিয়ে চলেছেন। জীবতকালে ওসামা নিজে অনুমান না করতে পারলেও অনেকে মনে করেন, তার মতবাদ বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করার জন্য লাগাতার যুদ্ধে জড়িত রয়েছে পাকিস্তান। কারণ তার রাষ্ট্রীয় অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে দেখতে পাচ্ছে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কারণে। সন্ত্রাসবাদের আতঙ্ক পশ্চিমের দেশগুলোকে নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগের এমন এক স্তরে এনে খাড়া করে দিয়েছে যে, স্বাধীন দৈনন্দিন জীবনাচরণের তাদের স্বীকৃত ধারণাকেই তারা হুমকিগ্রস্ত দেখতে পাচ্ছে।
৯/১১ ও তার পরবর্তীতে সন্ত্রাস প্রতিরোধে সন্ত্রাসের উৎসে আগেভাগে সামরিক হামলা চালানোর তত্ত্ব এবং এর প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট বিনাশ ও অস্থিতিশীলতাকে সন্ত্রাসী আতঙ্কে অস্থির পাশ্চাত্য অবশেষে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববাসী দেখে যাচ্ছেন, ইরাক ও লিবিয়ায় পাশ্চাত্যের হামলার পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ-সামর্থ্যে ভীষণ দৌর্বল্য দেখা দিয়েছে।
সিরিয়া এবং ইরানেও একই ধরনের হামলা চালানোর দাবি এখন বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।
৯/১১ পরবর্তী আফগানিস্তান প্রশ্নে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব আন্তর্জাতিক ঐকমত্যে গৃহীত হয়েছিল তাতে ওসামা বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার তালিবানকে আহবান জানানো হয়েছিল। মোল্লাহ উমর ঐ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। পরপরই মার্কিন হামলায় আফগানিস্তানে বিপর্যয় নেমে আসে।
কিন্তু জাতিসংঘের ভেতরে বা বাইরে ইরাকে যুদ্ধ শুরু করার প্রশ্নে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মতি গড়ে ওঠেনি।
এই যুদ্ধে ইন্ধন যোগায় ওয়াশিংটনের নব্য সংরক্ষণবাদীরা। কলংক নামে বুশ ও ব্লেয়ারের নামে। কোনো গণমারণাস্ত্র সাদ্দাম হোসেনের কাছে ছিল না। আল্ কায়েদার সঙ্গে কোনো সম্পর্কও তার ছিল না। অর্থাৎ যুদ্ধের সমর্থনে কোনো আইনী ভিত্তি ছিল না। নীতিগত সমর্থনের তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে বুশ-ব্লেয়ার যুদ্ধে নামলেন। ইরাকে ধ্বংসের চূড়ান্ত ঘটনা ঘটানো হলো।
দুনিয়ার জন্য পরিহাস বলতে হয়, বুশ ও ব্লেয়ার পরবর্তীতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। শান্তিতে কাটাচ্ছেন তাদের অবসর জীবন। ব্লেয়ারের বরাত তো আরো ভালো।
পরামর্শকের কাজে নেমে কোটি কোটি ডলার কামিয়ে চলেছেন ব্লেয়ার। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর তার টগবগে চেহারা টিভি-পর্দায় ইদানীং সবাই দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু সব দিন সমান যায় না। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় তিক্ত অপমান গিলতে হয় ব্লেয়ারকে। বিশপ ডেসমন্ড টুটু ব্লেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তোলার প্রস্তাব সম্প্রতি খারিজ করে দেন।
টুটুকে আফ্রিকার বিবেক বলে ডাকা হয়। অবজার্ভারে সম্প্রতি টুটুর একটি লেখা বেরোয়। তাতে টুটু প্রশ্ন করছেন- আন্তর্জাতিক বক্তৃতামঞ্চে টনি ব্লেয়ার আসন পান কোন্ গুণের জোরে? বিন লাদেনকে নিহত হতে হয় কোন্ কারণে? গণ মারণাস্ত্র ইরাকে ছিল না- তা সত্ত্বেও ইরাকে আগ্রাসন চলে কোন্ কারণে? ইরাককে সাদ্দামশূন্য করার জন্যই কি। টুটু আরো লিখেছেন, পশ্চিমা হামলার ফলে ইরাকে ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। আত্মঘাতী হামলায় ও গাড়ি বোমায় গড়ে প্রতিদিন দিন ৬ দশমিক ৫ ব্যক্তি ইরাকে প্রাণ হারিয়েছে গত বছর। ২০০৩ সাল থেকে যুদ্ধে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ইরাকী এ পর্যন্ত প্রাণে মারা গেছেন ও লাখো মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। গত বছরের শেষ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার মার্কিনী মরেছে এবং জখম হয়েছে ৩২ হাজার। এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ঘটানোর কারণে হেগের আদালতে গিয়ে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা হয়েছে পাশ্চাত্যের সমশ্রেণীর কিছু কিছু আফ্রিকান ও এশিয়ান নেতাকে। তাহলে বুশ ও ব্লেয়ারদের বেলায় অভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন?
টুটু প্রশ্ন করেন- মিথ্যায় ভর করে নিষ্ঠুর যুদ্ধ নির্দোষ দেশের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে এবং মিথ্যা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তা স্বীকার করে না ও তার জন্য ক্ষমা চায় না যে পশ্চিমা নেতারা, তারা যদি বিশ্বে মান্যতা পায় তাহলে কোন নৈতিকতা আমাদের শিশুদের আমরা শেখাবো? আর এক ব্যক্তি জর্জ মন্রিয়ট গার্ডিয়ানে লিখেন বৈধতাবিহীন যুদ্ধে বৃটেনকে জড়ানোর জন্য ব্লেয়ারের বিচার হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু অন্যায়-অবিচারের শাস্তির দাবিতে নীতি-আদর্শবাদের ভিত্তিতে আন্দোলন যখন চলছে, তখন লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ডের মতো লোকও পাওয়া যাচ্ছে, যিনি শোনাচ্ছেন যে, ব্লেয়ার লেবার পার্টিতে আবার ফিরে এলে তিনি তাকে স্বাগত জানাবেন।
অর্থাৎ রাজনৈতিক সুবিধাবাদের খাতিরে নৈতিকতাকে বেলামুল ভুলিয়ে দেয়া হলো। অথচ লেবার দলের সমর্থকরা বারবার দাবি তুলছেন, বৃটেনকে ইরাকযুদ্ধে জড়ানোর ব্লেয়ারের চেষ্টা রুখতে লেবার নেতারা ব্যর্থ রইলেন কেন? ব্লেয়ার ইরাকযুদ্ধের পক্ষে সংসদের সমর্থন আদায় করেছিলেন মিথ্যা কথা বলে- এই তথ্যে বৃটিশরা আজো ক্ষোভ জানিয়ে বলেছে।
সর্বশেষ শিক্ষণীয় যে বিষয়টি বুশ-ব্লেয়ার দুনিয়ার মানুষকে উপহার দিয়েছেন, সেটি হচ্ছে, অন্যায় যুদ্ধযাত্রার জন্য শাস্তি পাবার কোনো ভয় নেই। পরাশক্তি হিসেবে অন্যান্য দেশে একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার মার্কিন ও পাশ্চাত্যের অধিকার রয়েছে। ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইল অকারণ শোনাচ্ছে না! সূত্র : ডন
ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন বটে কিন্তু দুনিয়াজুড়ে মুসলিম তরুণরা ওসামার প্রবর্তিত মতবাদে আজো দীক্ষা নিয়ে চলেছেন। জীবতকালে ওসামা নিজে অনুমান না করতে পারলেও অনেকে মনে করেন, তার মতবাদ বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করার জন্য লাগাতার যুদ্ধে জড়িত রয়েছে পাকিস্তান। কারণ তার রাষ্ট্রীয় অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে দেখতে পাচ্ছে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কারণে। সন্ত্রাসবাদের আতঙ্ক পশ্চিমের দেশগুলোকে নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগের এমন এক স্তরে এনে খাড়া করে দিয়েছে যে, স্বাধীন দৈনন্দিন জীবনাচরণের তাদের স্বীকৃত ধারণাকেই তারা হুমকিগ্রস্ত দেখতে পাচ্ছে।
৯/১১ ও তার পরবর্তীতে সন্ত্রাস প্রতিরোধে সন্ত্রাসের উৎসে আগেভাগে সামরিক হামলা চালানোর তত্ত্ব এবং এর প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট বিনাশ ও অস্থিতিশীলতাকে সন্ত্রাসী আতঙ্কে অস্থির পাশ্চাত্য অবশেষে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববাসী দেখে যাচ্ছেন, ইরাক ও লিবিয়ায় পাশ্চাত্যের হামলার পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ-সামর্থ্যে ভীষণ দৌর্বল্য দেখা দিয়েছে।
সিরিয়া এবং ইরানেও একই ধরনের হামলা চালানোর দাবি এখন বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।
৯/১১ পরবর্তী আফগানিস্তান প্রশ্নে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব আন্তর্জাতিক ঐকমত্যে গৃহীত হয়েছিল তাতে ওসামা বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার তালিবানকে আহবান জানানো হয়েছিল। মোল্লাহ উমর ঐ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। পরপরই মার্কিন হামলায় আফগানিস্তানে বিপর্যয় নেমে আসে।
কিন্তু জাতিসংঘের ভেতরে বা বাইরে ইরাকে যুদ্ধ শুরু করার প্রশ্নে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মতি গড়ে ওঠেনি।
এই যুদ্ধে ইন্ধন যোগায় ওয়াশিংটনের নব্য সংরক্ষণবাদীরা। কলংক নামে বুশ ও ব্লেয়ারের নামে। কোনো গণমারণাস্ত্র সাদ্দাম হোসেনের কাছে ছিল না। আল্ কায়েদার সঙ্গে কোনো সম্পর্কও তার ছিল না। অর্থাৎ যুদ্ধের সমর্থনে কোনো আইনী ভিত্তি ছিল না। নীতিগত সমর্থনের তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে বুশ-ব্লেয়ার যুদ্ধে নামলেন। ইরাকে ধ্বংসের চূড়ান্ত ঘটনা ঘটানো হলো।
দুনিয়ার জন্য পরিহাস বলতে হয়, বুশ ও ব্লেয়ার পরবর্তীতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। শান্তিতে কাটাচ্ছেন তাদের অবসর জীবন। ব্লেয়ারের বরাত তো আরো ভালো।
পরামর্শকের কাজে নেমে কোটি কোটি ডলার কামিয়ে চলেছেন ব্লেয়ার। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর তার টগবগে চেহারা টিভি-পর্দায় ইদানীং সবাই দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু সব দিন সমান যায় না। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় তিক্ত অপমান গিলতে হয় ব্লেয়ারকে। বিশপ ডেসমন্ড টুটু ব্লেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তোলার প্রস্তাব সম্প্রতি খারিজ করে দেন।
টুটুকে আফ্রিকার বিবেক বলে ডাকা হয়। অবজার্ভারে সম্প্রতি টুটুর একটি লেখা বেরোয়। তাতে টুটু প্রশ্ন করছেন- আন্তর্জাতিক বক্তৃতামঞ্চে টনি ব্লেয়ার আসন পান কোন্ গুণের জোরে? বিন লাদেনকে নিহত হতে হয় কোন্ কারণে? গণ মারণাস্ত্র ইরাকে ছিল না- তা সত্ত্বেও ইরাকে আগ্রাসন চলে কোন্ কারণে? ইরাককে সাদ্দামশূন্য করার জন্যই কি। টুটু আরো লিখেছেন, পশ্চিমা হামলার ফলে ইরাকে ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। আত্মঘাতী হামলায় ও গাড়ি বোমায় গড়ে প্রতিদিন দিন ৬ দশমিক ৫ ব্যক্তি ইরাকে প্রাণ হারিয়েছে গত বছর। ২০০৩ সাল থেকে যুদ্ধে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ইরাকী এ পর্যন্ত প্রাণে মারা গেছেন ও লাখো মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। গত বছরের শেষ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার মার্কিনী মরেছে এবং জখম হয়েছে ৩২ হাজার। এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ঘটানোর কারণে হেগের আদালতে গিয়ে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা হয়েছে পাশ্চাত্যের সমশ্রেণীর কিছু কিছু আফ্রিকান ও এশিয়ান নেতাকে। তাহলে বুশ ও ব্লেয়ারদের বেলায় অভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন?
টুটু প্রশ্ন করেন- মিথ্যায় ভর করে নিষ্ঠুর যুদ্ধ নির্দোষ দেশের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে এবং মিথ্যা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তা স্বীকার করে না ও তার জন্য ক্ষমা চায় না যে পশ্চিমা নেতারা, তারা যদি বিশ্বে মান্যতা পায় তাহলে কোন নৈতিকতা আমাদের শিশুদের আমরা শেখাবো? আর এক ব্যক্তি জর্জ মন্রিয়ট গার্ডিয়ানে লিখেন বৈধতাবিহীন যুদ্ধে বৃটেনকে জড়ানোর জন্য ব্লেয়ারের বিচার হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু অন্যায়-অবিচারের শাস্তির দাবিতে নীতি-আদর্শবাদের ভিত্তিতে আন্দোলন যখন চলছে, তখন লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ডের মতো লোকও পাওয়া যাচ্ছে, যিনি শোনাচ্ছেন যে, ব্লেয়ার লেবার পার্টিতে আবার ফিরে এলে তিনি তাকে স্বাগত জানাবেন।
অর্থাৎ রাজনৈতিক সুবিধাবাদের খাতিরে নৈতিকতাকে বেলামুল ভুলিয়ে দেয়া হলো। অথচ লেবার দলের সমর্থকরা বারবার দাবি তুলছেন, বৃটেনকে ইরাকযুদ্ধে জড়ানোর ব্লেয়ারের চেষ্টা রুখতে লেবার নেতারা ব্যর্থ রইলেন কেন? ব্লেয়ার ইরাকযুদ্ধের পক্ষে সংসদের সমর্থন আদায় করেছিলেন মিথ্যা কথা বলে- এই তথ্যে বৃটিশরা আজো ক্ষোভ জানিয়ে বলেছে।
সর্বশেষ শিক্ষণীয় যে বিষয়টি বুশ-ব্লেয়ার দুনিয়ার মানুষকে উপহার দিয়েছেন, সেটি হচ্ছে, অন্যায় যুদ্ধযাত্রার জন্য শাস্তি পাবার কোনো ভয় নেই। পরাশক্তি হিসেবে অন্যান্য দেশে একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার মার্কিন ও পাশ্চাত্যের অধিকার রয়েছে। ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইল অকারণ শোনাচ্ছে না! সূত্র : ডন
No comments:
Post a Comment